বরগুনা | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে বরগুনা জেলার অবস্থান | |
বাংলাদেশে বরগুনা জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৯′৩″ উত্তর ৯০°৭′৩৫″ পূর্ব |
![]() | |
দেশ | ![]() |
---|---|
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ১৯৩৯.৩৯ কিমি২ (৭৪৮.৮০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৮,৯২,৭৮১ |
• জনঘনত্ব | ৪৬০/কিমি২ (১২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৭.৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ০৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট।
জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।
বরগুনা জেলার উপজেলাগুলি হল -
১৯৬৯ সালে বরগুনা পটুয়াখালী জেলার অধীনে একটি মহকুমা হয় । ১৯৮৪ সালে দেশের প্রায় সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হলে বরগুনা জেলায় পরিণত হয়।
বরগুনা নামের ইতিহাসের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও জানা যায় যে, উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এতদ্ঞ্চলে কাঠ নিতে এসে খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম বড় গোনা। কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন(দড়ি) টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা । কেউ কেউ বলেন , বরগুনা নামক কোন প্রতাপশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা । আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয় বরগুনা ।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরগুনা জেলার মোট জনসংখ্যা ৮,৯২,৭৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪,৩৭,৪১৩ জন এবং মহিলা ৪,৫৫,৩৬৮ জন। মোট পরিবার ২,১৫,৮৪২টি।[২]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরগুনা জেলার সাক্ষরতার হার ৫৭.৬%।[২]
বরগুনা এর অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। প্রধান শস্য ধান, চিনাবাদাম,সরিষা,সূর্যমুখী ও বিভিন্ন ধরনের ডাল। একসময় পাট চাষ হত, কিন্তু তা অর্থকারী ফসল হিসেবে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলে। উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায়, বরগুনার অনেকেই জেলের কাজ করে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগরিত ভাস্কর্য "অগ্নিঝরা একাত্তর "বরগুনা জেলার পৌর শহরের টাউন হল চত্বরে অবস্থিত।যার ফলশ্রুতিতে টাউন হলের নতুন নামকরণ করা হয়েছে স্বাধীনতা স্কয়ার।ভাস্কর্যটি নির্মান করেছেন প্রখ্যাত ভাস্কর মৃণাল হক।
এ অঞ্চলের প্রসিদ্ধ গান - "হয়লা" যা বিয়ের সময় গাওয়া হয়। তাছাড়াও - কীর্তন , জারিগান, সারিগান, কবিগান, লোকগাঁথা, লোকনাট্য উল্লেখযোগ্য।
বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, মাছ, মিষ্টি।